ওয়াই-ফাই (Wi-fi) যখন নীরব ঘাতক
ওয়াই-ফাই (Wi-fi) এর বদৌলতে পুরো দুনিয়া আজ আরো সহজভাবে আমাদের হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকে করে তুলেছে আরো আনন্দদায়ক। কিন্তু এই WiFi কি আমাদের শরীর স্বাস্থের জন্য নিরাপদ ?
অবশ্যই উত্তরটা হবে “না” ।

WiFi এর পুর্ন অর্থ হল Wireless Fidelity। যা নিজের চারপাশে এক অদৃশ্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরী করে সেখানে ইলেক্ট্রাম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা তরঙ্গ উৎপন্ন করতে থাকে। আর এই ইলেক্ট্রাম্যাগনেটিক রেডিয়েশনে যে ফ্রিকোয়েন্সিতে রেডিও সিগনাল ট্রান্সমিট করা হয় তা একটি মাইক্রো ওভেনে খাবার গরম করা অথবা রান্না করার সমান।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে আমরা প্রতিনিয়ত কি পরিমাণ ঝুকির মধ্যে থাকি।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ওয়াই-ফাই নীরবে প্রতিনিয়ত আমাদের কি কি ক্ষতি করে যাচ্ছে:
(১) কোষের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত:
WiFi এর ননথার্মাল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আমাদের কোষের বৃদ্ধি তে ব্যাঘাত সৃষ্টি কিরে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। যার কারণে পরবর্তীতে স্বাভাবিক দৈহিক বিকাশে বিঘ্ন ঘটে।

(২) অনিদ্রা:
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন এর কারনে অনিদ্রা বা insomnia হয়ে থাকে। এছাড়া স্বাভাবিক নিদ্রায় ব্যাঘাত আমাদের শারীরিক ও মানষিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
(৩) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস:
এই ক্ষতিকর রেডিয়েশনের প্রভাব আমাদের মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক। যা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে আমাদের মনোযোগ এবং ধীরে ধীরে আমাদের স্মরনশক্তি হ্রাস পায়।
(৪) জনন কোষের কার্য ক্ষমতা:
এটা জননকোষের স্বাভাবিক চলাচলকে ব্যাহত করে এবং DNA ফ্রাগমেনটেশন ঘটায়। যা অস্বাভাবিক গর্ভধারণ এবং উর্বরতা শক্তি হ্রাসের কারণ।

(৫) হৃদরোগ:
প্রতিনিয়ত এই রেডিওম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি আমাদের হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে থাকে। যা পরবর্তীতে নানারকম র্কাডিয়ভাস্কুলারডিজিসের কারণ হয়।
(৬) ক্যান্সার:
এই তরঙ্গ আমাদের দেহের ভিতরে প্রবেশ করে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের পরিমাণ বাড়ায় যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন রকম টিউমার এবং ক্যান্সার বা স্কিন ক্যান্সার হয়।
Feature Source: Pixabay.com