স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কিসমিসের উপকারিতা
সোনালী বাদামী রঙের এই ছোট্ট ফলটি কিন্তু রোদে বা ড্রায়ারে শুকানো আঙ্গুর ছাড়া আর কিছুইনা। মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা পোলাও কোরমার স্বাদ বাড়ানোর জন্য এর ব্যাবহার রান্নায় প্রচুর লক্ষ করা যায়। এর উপকারিতা বা স্বাস্থ্য গুন অনেক হওয়া স্বত্তেও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বাইরে এসে কিসমিস খাওয়া হয়না বললেই চলে।
আসুন জেনে নেই দৈনিক খাদ্য তালিকায় কিসমিস থাকলে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি।
১. দেহে শক্তি সরবরাহ করে
কিসমিসে আছে চিনি, গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ যা শরীরের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে দুর্বলতা দূর করে।
২. ক্যানসার প্রতিরোধ করে
কিসমিসে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি-র্যাডিকেল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে বাধা দেয়।
৩. কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ফাইবার যা আমাদের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৪. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কিসমিসে থাকা খনিজ পদার্থ বোরন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৫. চোখের জন্য উপকারী
এতে আছে ভিটামিন-এ , বিটাক্যারটিন এবং আলফা ক্যারটিনয়েড যা চোখের ছানি পরা ও বয়সকালে চোখের দৃষ্টি হ্রাস পাওয়া অনেকাংশে কমিয়ে আনে।
৬. দাত ও হারের দৃঢ়তাবৃদ্ধি
এতে থাকা ওলিয়ানোয়িক এসিড দাত ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং ক্যালসিয়াম দাত ও হারের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।
৭.অ্যাসিডোসিসে বাধা দেয়
এতে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের অ্যাসিডোসিস বা টক্সিসিটি বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে এবং PH ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
৮. অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে
এতে থাকে প্রচুর পরিমান আয়রন যা রক্তসল্পতা বা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এবং ভিটামিন বি কম্পেক্স ও কপার লোহিত রক্তকনিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য।
Source : Dailyhunt
Feature Photo Source: Bbarta24.net